অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইরানি জাতি কখনও বিদেশিদের কাছে মাথা নত করবে না। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনা চান, তাহলে তিনি কেন ভুল করছেন?
সোমবার ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের ৪৬তম বার্ষিকীতে তেহরানের আজাদি স্কয়ারে বিশাল সমাবেশে পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেন, ইরান তার সর্বশক্তি দিয়ে মার্কিন বলদর্পিতা ও মাস্তানির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও সর্বোচ্চ নেতা ইমাম খামেনেয়ীর নেতৃত্বে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবে।
তিনি আরও বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনার কথা বলেন, কিন্তু একই সাথে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং ষড়যন্ত্রের সনদে সই করেন।”
পেজেশকিয়ান বলেন, আমেরিকা নিজেকে শান্তিকামী বলে দাবি করে, কিন্তু কে এই অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত করেছে? এই অঞ্চল বিশেষকরে গাজায় কে হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে? পৃথিবীর কোনো স্বাধীনচেতা মানুষ কি নারী, শিশু এবং অসুস্থদের উপর বোমাবর্ষণ মেনে নিতে পারে?
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, আমরা কখনই বিদেশিদের কাছে মাথা নত করব না, ইরানে আঘাত করার ইচ্ছা লালন করতে করতেই শত্রুদেরকে কবরে যেতে হবে।
মাসুদ পেজেশকিয়ান আরও বলেন, ১৯৭৯ সালের এই দিনে ইরানের মানুষ সব ধরণের ভেদাভেদ ভুলে ময়দানে নেমেছিলেন এবং দৃঢ়তার সাথে ঐক্য ও সংহতি বজায় রেখে দেশ থেকে বিজাতীয় ও অত্যাচারীদের বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমরা যুদ্ধকামী নই। ইহুদিবাদী ইসরাইলই ইরানের নতুন সরকারের প্রথম কার্যদিবসে তেহরানে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করেছে।
পেজেশকিয়ান বলেন, “তারা নিজেরাই সন্ত্রাসী, কিন্তু উল্টো আমাদেরকে সন্ত্রাসী বলছে। তারা ইরানে অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা সন্ত্রাসের শিকার।”
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ট্রাম্প দাবি করেছেন যে ইরান আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যাহত করেছে। যদিও বাস্তবতা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপুষ্ট ইসরাইলি রেজিম নিরাপত্তাহীনতার প্রধান কারণ এবং তারা যেকোনো স্থানে নির্যাতিত জনগণের উপর বোমাবর্ষণ করছে।
Leave a Reply